শাহ সুমন (বানিয়াচং) প্রতিনিধিঃ বানিয়াচংয়ে কবিরাজি চিকিৎসার নাম করে এক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীর গোপন অন্তরঙ্গ মহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ। ভূক্তভোগী ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জিম্মি করে ৪মাস যাবত ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে। (৭নভেম্বর) হবিগঞ্জ, বানিয়াচং আমলি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের উপস্থিতি ১৬৪ ধারায় অভিযুক্ত কবিরাজ নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করে। শুনানি শেষে আদালত আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযুক্ত কবিরাজ বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বরব দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্নপাড়া গ্রামের মৃত ধলাই মিয়ার পুত্র মোঃ এনামুল হক(৩৫)। অভিযোগ জানা যায়,বানিয়াচং উপজেলা সদর ২ নম্বর উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের আদমখানী মহল্লার দশম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ৪মাস পূর্বে পেটের ব্যাথা নিয়ে ওই কবিরাজের নিকট গেলে সে ভালো চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবে বলে মেয়ের পরিবার কে আশ্বস্ত করে।
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে সময়ে কবিরাজ এনাম মেয়েটির সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলে ভুক্তভোগীর গোপন অন্তরঙ্গ মহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে জিম্মি করে ফেলে। গোপন ছবি ও ভিডিও ধারণের পর থেকে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতে থাকে।
এছাড়াও মেয়েটি কবিরাজ কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ২৭ জুলাই অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ছবি ধারণ করে। কবিরাজ এনামের কথা না শোনার কারণে ১১ আগস্ট মেয়েটির পরিবারের মোবাইলে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিতে থাকে। ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে ঊঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে ও ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে।
বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি ও লোকলজ্জায় ভুক্তভোগী মুখ না খুললেও ইদানীং কবিরাজের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে এই বিষয়টি মেয়ের মা কে জানালে তিনি মামলা করতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মেয়ের মা জানান, লোকলজ্জার ভয়ে এতোদিন মুখ খুলি নাই।
আমার মেয়েটি ছোট্ট বলে এই ভন্ড কবিরাজ আমার মেয়ের চিকিৎসার নাম করে যে সর্বনাশ করেছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
আর যেন কোন মেয়ের এরকম সর্বনাশ না ঘটে কোন ভন্ড কবিরাজের কারণে সবাই সতর্ক হবেন। বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্ত আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করি। আসামী বিজ্ঞ আদালতে তার অপরাধের ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।