সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা থেকে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই কিশোরীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ সময় অপহরণকারী ধর্ষক হৃত্বিক চন্দ্র বর্মণকেও আটক করে পুলিশ। সে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পঞ্চসাড় গ্রামের বিমল চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড়ভাই দোয়ারাবাজার থানায় অপহরণ মামলা করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতায় থানা এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে (১৬) উদ্ধার ও অপহরণকারী ধর্ষক হৃত্বিককে আটক করে পুলিশ। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার তাদের দোয়ারাবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নে হৃত্বিকের খালার বাড়ি। ওই কিশোরীর বাড়িও কাছাকাছি স্থানে হওয়ায় প্রায়ই সে এখানে আসা-যাওয়া করত। ওই সুবাদে হৃত্বিক জেসমিনকে প্রেমের প্রস্তাব দিত।
কিন্তু সে সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী হওয়ায় কিশোরী তার প্রেমে সাড়া না দেয়ায় তাকে কৌশলে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের বড়ভাই বলেন, আমার স্কুলপড়ুয়া ছোটবোনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টিকটক খ্যাত বখাটে হৃত্বিক তাকে অপহরণ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে। আমি ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. নাজির আলম বলেন, আমরা অপহরণকারীকে অল্প সময়েই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।