
সৌদি আরবের সড়কে প্রাইভেটকার চাপায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী জনি মিয়া (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জিজান শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া কটিয়াদী পৌর সদরের বাগরাইট এলাকার বিল্লাল মিয়ার বড় ছেলে।
স্বজনরা জানান, জনি মিয়া সৌদি আরবের জিজান শহরে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। নাইট ডিউটি শেষে রুমে আসেন জনি। পরে হাত মুখ ধুয়ে হোটেল থেকে নাস্তা আনার জন্য বাইসাইকেলে করে বাইরে যান তিনি। পথে পেছন থেকে দ্রুত গতির একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জনি মিয়ার সহকর্মী আব্দুল হাকিম এ সংবাদ বাড়িতে পৌঁছান।
স্বজনরা আরও জানান, ধার-দেনা করে জনি মিয়া মাত্র দেড় বছর আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। এখনও তার ধার দেনা পরিশোধ হয়নি। এর মধ্যেই তার প্রাণ গেলো সৌদির সড়কে।
জনি মিয়ার পিতা বিল্লাল মিয়া বলেন, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করি। অল্প আয় দিয়ে অতি কষ্টে সংসার চলে। দেড় বছর আগে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ধার-দেনা করে বড় ছেলে জনি মিয়াকে সৌদি আরবে পাঠাই। ছেলের পাঠানো টাকায় ইতোমধ্যে কিছু ধার-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। এখনও অনেক ঋণ রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ছেলের মৃত্যু আমাদের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয়েছে। এখন কীভাবে ঋণ শোধ করবো সেই চিন্তাই করছি। সরকারের কাছে দাবি ছেলের লাশটা যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।
কটিয়াদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় জনির পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি জনির আত্মার শান্তি কামনা করছি ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।