একজন ব্যক্তির অধীনে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগকে ‘কাফালা’ বলা হয়। এই ‘কাফালা’ পদ্ধতি বাতিলের কথা ভাবছে সৌদি সরকার। এর পরিবর্তে নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে নতুন ধরনের চুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রায় সাত দশক ধরে সৌদিতে কাফালা পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই পদ্ধতির কারণে সৌদিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা কোনো ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন না। তাদেরকে তাদের অনেকটা নিয়োগকর্তার ইচ্ছামত চলতে হয়। এবারের জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
আর ওই সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের বেসরকারি খাতের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ করার চিন্তা করছে সৌদি আরব। দেশটি বিভিন্ন দেশের মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে চাইছে। করোনা মহামারির কারণে সৌদির তেল নির্ভর অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। ফলে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্য সব ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদি। সৌদি কফিল বা নিয়োগকর্তা কাফালা পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে আইনের গ্যাড়াকলে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসীরা তাদের কর্মজীবন অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রথম থেকেই কাফালা পদ্ধতির সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদির মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী সপ্তাহে একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করতে চাচ্ছে, যেখানে নিয়োগকারী এবং প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে।
২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
কাফালা পদ্ধতির অধীনে সৌদিতে বর্তমানে এক কোটির বেশি বিদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। বর্তমানে কাফালা পদ্ধতিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের এক কোটি বিদেশি শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত আছেন।