সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে দেশে আনার পর মাধবপুর থানায় মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা শনিবার রাতে বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
রোববার সকালে চুনারুঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় প্রধান আসামি আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর এসআই মানিক সাহা চুনারুঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় রোববার সকালে নরপতি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেন।
মামলার বাদী অভিযোগে বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর আবুল কাশেম অন্য আসামিরা মিলে ভাল কাজের প্রলোভন দিয়ে আমার মেয়েকে সৌদি আরবে পাঠায়। সেখানে তাকে গৃহকর্মীর কাজ দেয়। এরপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন চলতে থাকে। সুযোগ বুঝে মেয়েটি ফোনে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানায়। এর পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মেয়ে দেশে আনার আবেদন করি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সারওয়ার আলম ওই তরুণীকে উদ্ধার করে দেশে পাঠাতে রিয়াদ দূতাবাসের কাউন্সিলরকে (শ্রম) অনুরোধ করেন। শনিবার সকালে দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্টের সহযোগিতায় তরুণীকে দেশে পাঠানো হয়। ওই তরুণী মাধবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আবুল কাশেমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।