সৌদি আরবের তেল শিল্পের প্রাণকেন্দ্রে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। রবিবার সৌদি আরবের রাষ্টীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর পেট্রলিয়াম রপ্তানির প্রধান বন্দর রাস তানুরেও হামলা হয়। তবে রিয়াদ বলছে এই হামলা বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব হামলায় কোনও প্রাণহানি কিংবা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সঙ্গে ইয়েমেনে ছয় বছর ধরে লড়াই করছে ইরান সমর্থিক হুথি বিদ্রোহীরা। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের তেল শিল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। ২০১৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর কেন্দ্রস্থলের দুটি প্লান্টে চালানো ড্রোন হামলায় সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়।
রবিবারের হামলা প্রসঙ্গে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাস তানুরা শহরে একটি তেল স্থাপনার উদ্দেশে আসতে থাকা একটি সশস্ত্র ড্রোন প্রতিহত করেছে তারা। এছাড়া দাহরানে সৌদি আরামকোর একটি আবাসিক এলাকার কাছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো এসে পড়েছে।
হামলার ঘোষণা দিয়ে হুথি বিদ্রোহীরা বলেছে সৌদি আরবের দাম্মাম, আসির এবং জাজান শহরের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুধু সৌদি আরবকেই টার্গেট করে না, বরং সারা দুনিয়ার নিরাপত্তা ও জ্বালানি সরবরাহের স্থিতিশীলতাকেও বিঘ্নিত করে, আর এভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’