সৌদি আরবে অবস্থানকালে এক ব্যক্তি অপহরণের শিকার হওয়ার পর তার স্ত্রী ও শ্বশুরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, নগদ) এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধের পর ভুক্তভোগীকে সৌদি আরবে ছাড়া হয়।
এরকম ঘটনায় সিআইডি চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম মো. জিয়াউর রহমান (৪২), তিনি মাগুরার শালিখা থানার সীমাখালীর খোলাবাড়ী আব্দুল গণি মোল্যার ছেলে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাগুরার শালিখা হরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, বাদীর মেয়ের জামাই রাসেল দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করছেন এবং নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেন। ১২ জানুয়ারি সকালে পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা তাকে রিয়াদ শহর থেকে অপহরণ করে। পরে তার বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে অজ্ঞাত ফোন আইডি ও ভিওআইপির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়, না দিলে প্রাণহানি ও ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়।
মুক্তিপণের জন্য অপহরণকারীরা বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান করে। পরে সাইফুল ইসলাম ও অন্যান্যরা মোট ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর ভুক্তভোগীকে রিয়াদ শহরের রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে দিয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
সিআইডি তদন্তে তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িত চক্র শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াউর রহমান স্বীকার করেছেন যে, সৌদি আরবে থাকা অপরিহার্য অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন গ্রহণ করেছেন।
এ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট পরিচালনা করছে। জিয়াউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ ও রিমান্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন।
