সোলায়মান হাসান, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ উপজেলায় এই বছর রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৫টি অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করেছে উপজেলা প্রশাসন। দুটি স্থায়ী পশুর হাট থাকা সত্ত্বেও নামমাত্র মূল্যে এসব হাটের ইজারা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
৩০ জুন সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৫টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতি পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অস্থায়ীভাবে ১৫টি হাটের ইজারার জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩০ জুন দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
যেসব অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অলিপুরা বাজার কবরস্থান সংলগ্ন অস্থায়ী গরু, আলমদী কালভার্ট সংলগ্ন হারুনের মাঠ অস্থায়ী গরু, রিলায়েন্স হাউজিং এর খোলা মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট, বস্তল এম্পিয়ার ষ্টীল মিল সংলগ্ন মাঠ অস্থায়ী গরুর, হাট শিলাব বালুর মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট, তালতলা বালুর মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট, বন্ধীর বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে চরনোয়াগাঁও বালুর মাঠে অস্থায়ী গরু, বৈদ্যেরবাজার বালুর মাঠ সংলগ্ন অস্থায়ী, মেঘনা শিল্পনগরী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট, মঙ্গলেরগাঁও গিয়াস উদ্দিন সাহেবের বালুর মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট, খুলিয়াপাড়া মিলন মিয়ার বালুর মাঠ অস্থায়ী গরুর হাট, হোসেনপুর করবস্থান সংলগ্ন বিল্লাল বেপারীর বাড়ীর পার্শ্বেঅস্থায়ী গরু ছাগলের হাট, চর কিশোরগঞ্জ বালুর মাঠ প্রাঙ্গনে অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট, বারদী ইউনিয়নের ফুলদী বাগেরপাড়া বিলকী বাড়ী আমিন মেম্বারের বালুর মাঠ অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট, নয়াপুর বাজারের পিছনে বাচ্চু মেঘারে আম বাগানে অস্থায়ী গরু ছাগলের হাট।
এই ১৫টি অস্থায়ী হাটের বাইরে সোনারগাঁও পৌরসভার মুন্সীরাইল বাজারে আরও একটি পশুর হাট কয়েক বছর ধরে বসছে। এ হাটের অনুমোদন দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও উপজেলার আনন্দবাজার ও কাইকারটেকে দুটি বৃহত্তর স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় পাঁচ বছর ধরে এসব হাটের ইজারা হয়। সমঝোতা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা হাটের ইজারা নেন। ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এসব হাটের ইজারা দেওয়া হতো। হাটের ইজারার কম মূল্য নিয়ে গত বছর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন হাটের ইজারামূল্য সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা বেঁধে দেয়। পরে গত বছর সব কটি হাট ৫০ হাজার টাকা করে দিয়ে ইজারা নিতে বাধ্য হন ইজারাদারেরা।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং এলাকাবাসী যাতে নির্বিঘ্নে কাছাকাছি স্থান থেকে পশু কিনতে পারে সে জন্যই এত বেশি সংখ্যক হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।