সোলায়মান হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে: সোনারগাঁ ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। রাশেদ ও রাসেল তারা দুই জন দীর্ঘদিন সোনারগাঁ উপজেলার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। এবার পুরোনো নেতৃত্ব ভেঁঙ্গে ঢেলে সাজানো হবে। আসবে নতুন ও নিয়মিত ছাত্রদের হাতে। সে জন্য ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একাধিক ছাত্র নেতা ছাত্রলীগের পদ পদবীর জন্য কেন্দ্রে তাদের সমর্থিত নেতাদের নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। কেউ সভাপতি পদে কেউ আবার সেক্রেটারী পদে।
সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে আসতে অনেক ছাত্রলীগ নেতা বিভিন্ন ভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবু সাইদ, কাঁচপুর এলাকার নাছির উদ্দিন, রাসেদুল ইসলাম রাসেদ, পৌরসভার মাহমুদুল হাসান, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহ আল রাহিম।
সুত্র জানান, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন আনুষ্ঠানিক ভাবে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি ১ বছরের জন্য ঘোষনা করেন। এর পর থেকে সেই কমিটি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেয়ার পর এবার নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক সুত্র।
সুত্র জানায়, এবার ছাত্রলীগের কমিটির জন্য কয়েকজন ছাত্র নেতা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন স্থানে লবিং করছেন। তারা তাদের পন্থীদের নেতাদের নিয়ে পদ পদবী পেতে কাজ করছেন যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে এবার ছাত্রলীগের কমিটিতে নিয়মিত ও ছাত্র রাজনীতে যারা অবদান রেখেছেন সে সকল ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগে কমিটি ঘোষনা করার হবে। ছাত্রদের পাশাপাশি অনেক ছাত্রও বিভিন্ন নেতার ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের পদে আসার জন্য বিভিন্ন ভাবে লবিং চালাচ্ছেন।
এবার যারা ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং করছেন তারা সবাই দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা। এবার ছাত্রলীগের পদ পদবীতে যারা এগিয়ে রয়েছেন তারা হলেন কাঁচপুর বিসিক এলাকার নাছির উদ্দিন। যিনি সোনারগাঁ সরকারী কলেজে অর্নাস ৩য় বর্ষের ছাত্র। তিনি কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক পদে বহাল ছিলেন। তিনি পরিবারিক সুত্রে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। তিনি নুরে আলম খাঁনের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছেন।
ছাত্রলীগের আরেকজন নেতা হলেন আবু সাঈদ। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিষ্ণনী গ্রামে তার জম্ম। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অতিষ্ঠিত ছিলেন।
রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, তিনি রয়েছেন ছাত্রলীগের জেলা যুগ্ন সম্পাদক পদে। তিনি আমেরিকা ইন্টার ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি এমবিএ ৪র্থ বর্ষেও ছাত্র। তার বাড়ী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলের গাঁও গ্রামে। তিনি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানের সাথে রাজনীতিতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি করোনাকালে করোনা যোদ্ধা হিসেবে বাক্সবন্দি নামে একটি সংগঠন করে অসহায় মানুষের সেবা করেছেন।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য দৌড়ঝাপ করছেন পৌরসভার নয়ামাটি গ্রামের মাহমুদুল হাসান। তিনি বর্তমান জেলা কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বর্তমানে তোলারাম সরকারী কলেজে বিএ ফাইনাল বর্ষের ছাত্র। তিনি ছাত্র জীবনে আনম বাহাউল হকের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। তিনি বিএনপি ও চারদলীয় ঐক্য জোট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোল সংগ্রাম করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরুর পন্থি হিসেবে রাজনীতির করেন।
আরেকজন রয়েছেন আল রাহিম, তার বাড়ী মোগরপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া। তিনি তোলারাম সরকারী কলেজে ফাইনাণ ইয়ারে অধ্যায়নরত রয়েছেন। সর্ম্পকে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালামের ভাতিজা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুল ইসলাম আজিজ তার মামা। তিনি বর্তমানে কায়সার পন্থি হিসেবে রাজনীতি করছেন বলে জানিয়েছেন।