মহামারি করোনাভাইরাসে সৌদি আরবে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে চালু হচ্ছে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট। গতকাল মঙ্গলবার জেদ্দা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রথমে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফেরত যেতে পারবেন, যার প্রথমটি আগামী ১৬ বা ১৭ জুন জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আরেকটি ছেড়ে যাবে দেশটির রাজধানী রিয়াদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। তবে এখনো তারিখ নির্দিষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি এক্সিট-রিএন্ট্রি অথবা এক্সিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে সৌদি থেকে যারা বের হতে পারেননি, তাদের জন্য চালু হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট।
নাজমুল হুদা জানান, সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীদের ভ্রমণ ভিসায় নিয়ে আসা পরিবার ও ওমরাহ ভিসায় এসে যারা ফেরত যেতে পারেননি এবং দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত যেসব ছাত্রছাত্রী নিজ খরচে দেশে ফেরত যেতে চান, ওইসব ভিসাধারীদের বাংলাদেশে ফেরত নেওয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমানের ভাড়া একটু বেশি হবে। ওয়ান ওয়ে’র প্রতিটি ইকোনমিক ক্লাস আসনের মূল্য হবে ৩ হাজার ৩০ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা)। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী আরো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা আরো জানান, দেশে ফেরত যাওয়ার সুবিধা গ্রহণকারী প্রত্যেককে স্থানীয় কনস্যুলেট অথবা দূতাবাসে যোগাযোগ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং সেই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে একটি নম্বর আসবে, যে নম্বর অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে বিমানের জেদ্দা অফিস আল নাকিল সেন্টার থেকে।
তিনি আরো জানান, যে সমস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নির্ধারিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (০৫৫৬২২১৮৫৮) যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ফটোকপি এবং ভিসা ফটোকপি জমা দিতে হবে। পরে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের অফিসে তা পাঠানোর পর সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে আগ্রহীরা বাংলাদেশে ফেরত যেতে পারবেন।
তবে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছেন রিয়াদ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান।