বাবা আব্দুস সালাম পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)। তার মেয়ে ডা. শাহনাজ পারভিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়ার পর বাবা স্যালুট করলেন মেয়েকে। মেয়েও বাবাকে স্যালুটের উত্তর দিলেন। এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। দিনভর বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত ফোন পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন আব্দুস সালাম।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমার জীবন ধন্য, মেয়েকে স্যালুট করতে পেরে। এ দৃশ্য যতদিন বেঁচে থাকবো মনে থাকবে। আমার আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। এখন মনে হচ্ছে সত্যিই আমি গর্বিত বাবা।’
এসআই আব্দুস সালাম জানান, তিনি রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় কর্মরত রয়েছেন। পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামে তার বাড়ি। বর্তমানে চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে রংপুরে রয়েছেন। তিনটি মেয়ে সন্তানের বাবা তিনি। বড় মেয়ে শাহনাজ পারভিন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ৪৩তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সেশন ২০১৩-২০১৪। ইন্টার্ন শেষ করে সম্প্রতি ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। মেজো মেয়ে উম্মে সালমা একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী। সবার ছোট স্মৃতিমণি মীম এসএসসি পরীক্ষার্থী।
তিনি আরও জানান, তার বড় মেয়ে শাহনাজ পারভিন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। ২০১৩-১৪ সেশনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শাহনাজ। এরপর এমবিবিএস পাস করার পর ইন্টার্ন শেষ করে সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার জানান, আব্দুস সালাম একজন আদর্শ বাবা। তিনি তিন মেয়েকে কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এটা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা সবাই আনন্দিত। নিজের চেয়ে উচ্চ পদে মেয়েকে চাকরিতে দেখতে পাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এমন অর্জন সব বাবার গর্বের।’