সুন্দরবনে ৩০ কেজি হরিণের মাংসসহ তিন হরিণ শিকারিকে গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ। এ সময় শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে আটকে পড়া ২২টি হরিণ রক্ষা পেয়েছে। চোরা শিকারিদের ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, একটি ডিঙি নৌকা ও ৭০০ ফুট ফাঁদ জব্দ করা হয়। সোমবার (৫ মে) গভীর রাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বন বিভাগ তাদের গ্রেফতার করে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বন বনবিভাগ জানায়, এ অভিযানের কারণে শীর্ষ চোরা শিকারি মালেক গোমস্তার দলের হাত থেকে সুন্দরবনের বিরল প্রজাতির চিত্রল হরিণের পাল রক্ষা পেয়েছে। বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি এলাকার মালেক গোমস্তা শীর্ষ চোরা শিকারি।
আটক ব্যক্তিরা হলো– বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার তালুকের চরদুয়ানি গ্রামের জয়নাল খাঁর ছেলে আবুল খাঁ (৪২), একই উপজেলার কাঁঠালতলি গ্রামের হরিপদ মিস্ত্রির ছেলে সঞ্জয় মিস্ত্রি (৩২) এবং খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার পানখালি গ্রামের মালেক শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (২৫)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘চোরা শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে এই গোপন সংবাদ পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে অভিযানে যায়। বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তিনজন ধরা পড়ে। অন্যরা পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি শিকার করা হরিণের মাংস। নদীতে ফেলে দেওয়ার কারণে চামড়া ও মাথা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘পলাতকদের মধ্যে বনবিভাগের শীর্ষ তালিকাভুক্ত চোরা শিকারি মালেক গোমস্তাও ছিল। টিয়ারচরে চোরা শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদে ২২টি হরিণ আটকে পড়ে ছিল। আমরা ফাঁদে আটকে পড়া হরিণগুলোক বনের গহীনে অবমুক্ত করেছি।’ মালেক গোমস্তার দল সুন্দরবন থেকে হরিণের একটি বড় চালান শিকার করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে ধারণা এই বন কর্মকর্তার।
তিনি জানান, এই অভিযানের ফলে সুন্দরবন থেকে হরিণের বড় একটি পাল চোরা শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। চোরা শিকারি মালেক গোমস্তার বিরুদ্ধে চার-পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে বন বিভাগ চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।