সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্রবাদীদের দ্বারা পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ধৃষ্টতা দেখানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা।
সোমবার সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নেতাকর্মীদের নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ। দুনিয়ার মুসলিম, এক হও এক হও। আল কুরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান। পালুদানের ওই হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। আল কুরআনের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো। আল হাদীসের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ফারহান সাদিক তাদের বক্তব্যে বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করেছেন। যা শুধু কুরআন নয়; বরং বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করার শামিল।
নেতাকর্মীরা বলেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য জাতি বা দেশ কারো মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। এর আগেও ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থীরা। এ নীতিহীন ন্যক্কারজনক অপকর্মের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল, যাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছিল। ফলে শুধু মুসলমান নয়; বরং বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ও মানুষ থেকে ধিক্কার ও ঘৃণা কুড়িয়েছিল সুইডেন। এগুলো কোনোভাবেই বাক-স্বাধীনতা নয়; বরং বাক-স্বাধীনতার নামে চরম ধৃষ্টতা। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকারের নীরব ভূমিকা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এগুলো কী শুধু অবমাননা, নাকি এর পেছনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা বিবেচনায় নেয়ার জন্য আমরা মুসলিম নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে এমন নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসঙ্ঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ সকল মুসলিম দেশ, নেতৃবৃন্দ ও শান্তিকামী মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সেক্রেটারিসহ প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি