![InShot_20210605_163153407](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2021/06/InShot_20210605_163153407-scaled.jpg)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের কয়েকটি খোলা সীমান্ত এলাকায় অবাধে মেলামেশার কারণে মাধ্যমে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা রয়েছে। পাশাপাশি গ্রামে বসবাস করা এসব মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে হাটবাজারসহ নানান ধরণের লেনদেন করছেন। ফলে শংকা দেখা দিয়েছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার। স্বাস্থ্য বিভাগ নজরদারীর কথা বললেও মাঠ পর্যায়ে অবস্থা ঢিলেঢালা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত পথ রয়েছে ২৭৮ দশমিক ২৮ কিলোমিটার এলাকা। এরমধ্যে নদীপথে ৩১৬ কিলোমিটার এবং মেইনল্যান্ডে ৩২ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার নেই। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় পরেছে সীমান্ত এলাকা। এসব এলকায় পাশাপাশি বসবাস করা বাংলাদেশী ও ভারতীয় নাগরিকরা নিজেদের প্রয়োজনে মেলামেশা করছেন, লেনদেন করছেন। ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে। এ ব্যাপারে মোটেই সচেতন নয় সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকরা। জেলার নাগেশরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের শিমুলতলা ও ছোট খামার গ্রামের ১০২১ সীমান্ত পিলার এলাকায় নেই কোন কাঁটাতার। একই অবস্থা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশজানি গ্রামে। এই দুই গ্রামে দীর্ঘ আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় নেই কোন কাঁটাতার। ফলে এই তিন গ্রামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার দীঘলটারী গ্রামের মানুষ অবাধে প্রবেশ করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তারা হাটবাজার করছেন, লেনদেন করছেন এবং মেলামেশা করছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে কাঁটাতারে গিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই সেলফি তুলছে। এলাকার লাকজনের সাথে মিশছেন। ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা রয়েছে এসব সীমান্তবর্তী এলাকায়।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা: মো. হাবিবুর রহমান জানান, সীমান্তবর্তী এবং বৃহৎ নদ-নদীময় জেলা হওয়ায় এখানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শংকা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগসহ জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ বিভাগ করোনার সংক্রমণ রোধে কাজ করছে। সীমান্তের বিষয়গুলো আমাদের নজরে রয়েছে।