করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নেয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করেছে সরকার। করোনা আক্রান্ত বিবেচনায় সিলেট বিভাগের চার জেলাকে রেডজোনের আওতায় আনা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার (৬ জুন) সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় সিলেটসহ দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে।
সিলেট বিভাগের চার জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারকে বলা হচ্ছে পুরোপুরি লকডাউন।
সরকারের সূত্র বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে লকডাউন কার্যকর হতে পারে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিলেট ছাড়াও রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সবকটি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন দেখানো হচ্ছে। আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।
বরিশাল বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে চারটি জেলাকে। আংশিক লকডাউন দেখানো হচ্ছে দুটি জেলাকে। চট্টগ্রাম বিভাগে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে ৮টি জেলাকে। আর আংশিক লকডাউন দেখানো হচ্ছে তিনটি জেলাকে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে ১১টি জেলাকে। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর আংশিক লকডাউন। খুলনা বিভাগে ৬টি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন ও আংশিক লকডাউন বলা হচ্ছে তিনটি জেলাকে। এই বিভাগেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন চিহ্নিত জেলা ঝিনাইদহ। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে ৫টি জেলাকে। আংশিক লকডাউন তিনটি জেলা।
ওয়েবসাইটে ঢাকা মহানগরীর ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) বলে দেখানো হচ্ছে ১১টি এলাকাকে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) হিসেবে ঢাকার কোনো এলাকাকে দেখানো হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭৭ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায়ই মারা গেছেন ৩৪ জন।