আবুল কাশেম রুমন, সিলেট: প্রতিদিন সিলেট জুড়ে কোথাও না কোথাও ঘটছে খুন খারাপি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। নতুন বছর ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে হঠাৎ করে সিলেটে জেলায় খুন খারাপি বেড়ে গেছে। তুচ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেদের আক্রোশ হয়ে হত্যাকান্ড পর্যন্ত গড়াচ্ছে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফার্ম্মেসিতে এক মহিলাকে ধর্ষণের করে লাশ ৬ টুকরো গুম করার পরিকল্পনায় অবাক লাগিয়ে দিয়েছে প্রশাসন ও এলাকার মানুষকে। চলতি বছরে দেড় মাসে সিলেট বিভাগে এরকম লোকহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। পুলিশ ও সমাজসচেতনরা বলছেন নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মানুষের মানসিকতার এমন অধঃপতন ঘটেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাইয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ কাটা নিয়ে প্রতিবেশিরা পিঠিয়ে খুন করেন সাহাব উদ্দিন নামের এক অটোরিকশা চালককে। ওই মাসে গোলাপগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে তারিফুর রহমান নামের এক যুবককে খুন করা হয়।
৯ ফেব্রুয়ারী নিজের দেড় বছর বয়সী শিশুকন্যাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পুলিশে আত্মসমর্পন করেন ঘাতক মা নাজমীন আক্তার। তিনি ছিলেন প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা।
এ বছরের ৩১ জানুয়ারি বিকেলে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়খেওড় এলাকায় ফরিদ উদ্দিন নামের এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়। খুনীরা হত্যাকান্ডের পর ফরিদের এক পা কেটে নিয়ে যায়।
২৩ জানুয়ারি জৈন্তাপুরে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে নিজের মাকে হত্যা করে আবুল হাসনাত নামের এক যুবক।
৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মারুফ আহমদ নামের এক যুবক নিহত হন।
তবে সচেতন মহল ও প্রশাসনের অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন মানুষের মাঝে সামাজিক অবক্ষয় ও নীতি নৈতিকতার মুল্যবোধ হারিয়ে যাওয়ার কারণে এ ধরণের খুন খারাপি ঘটনা ঘটছে। আমাদের সকলে ধৈর্য্য ধারণ এ ধরণের পরিস্থিতিকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজে থেকে যদি সতেন না হওয়া যায় তাহলে আগামীতে আরও কঠিন পরিস্থিতি হবে।