সিলেট প্রতিনিধি: টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ)। চুক্তি অনুসারে সিএনজি অটোরিকশার ডিজিটাল নম্বর প্লেট এবং ডিজিটা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি), ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানের। এ সুবাদেই নগরীর বন্দরবাজারস্থ বিআরটিএ কার্যালয়ের একটি কক্ষ নির্ধারিত রয়েছে টাইগার আইটি’র জন্য। প্রতিষ্ঠানের সিলেট সার্কেলের ইনচার্জ সানাউল্লাহ ফকির বসেন ওই কক্ষে। অভিযোগ রয়েছে, ওই কক্ষ থেকে বিআরটিএ’র অজান্তে এক সিএনজি অটোরিকশার ডিজিটাল নম্বর প্লেট এবং ডিআরসি উঠে আসে অন্যজনের হাতে।
জানা গেছে, বর্তমানে নতুন করে সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না বিআরটিএ। কিন্তু পুরোনো গাড়ি গুলোতে ডিআরসি এবং ডিজিটাল নম্বর প্লেট প্রদান করা হচ্ছে এখনো। সিলেট বিআরটিএ কার্যালয় থেকে যানবাহনের ডিআরসি এবং ডিজিটাল নম্বর প্লেট সংগ্রহ করেন সিএনজি অটোরিকশা মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের অনেক সিএনজি অটোরিকশা মালিক নিজেদের গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। কোনো কোনো গাড়ি দুই থেকে তিন মালিকের হাত বদল হয়েছে। অনেক গাড়ি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রকৃত মালিকেরা যোগাযোগ না করায় ওই গাড়ি গুলোর ডিআরসি ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরি হয়ে আছে বিআরটিএ সিলেট অফিস অপরদিকে, নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদান বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি নতুন সিএনজি অটোরিকশা বিক্রি। প্রতিনিয়তই সড়কে নামছে গাড়ি গুলো। অভিযোগ, তৈরি হয়ে থাকা পুরনো অটোরিকশার ডিআরসি এবং ডিজিটাল নম্বর প্লেটগুলোই সানাউল্লাহ ফকির তুলে দিচ্ছেন নতুন অটোরিকশার মালিকদের হাতে। ওয়ার্কশপে চেসিস নম্বর বদলে পুরোনো গাড়ির নম্বর বসিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে। নতুন গাড়ির মালিক পেয়ে যান ডিজিটাল ব্ল-ব্লুক বা ডিআরসি। এমনও অভিযোগ রয়েছে, কখনও কখনও একই ডিআরসি এবং ডিজিটাল নম্বর প্লেট বুঝিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ির মালিককে।
এ ব্যাপারে সানাউল্লাহ ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল দায়ভার বিআরটিএ সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালকের উপর দিয়ে বলেন, এডি স্যারের লিখিত নির্দেশে আমরা পাঞ্চ করা চেসিসে ডিজিটাল নম্বর প্লেট লাগিয়ে দেই।
বিআরটিএ সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) সানাউল হক জানান, অসম্ভব। এটা হতেই পারে না। আমি কখনো এরকম কোনো নির্দেশ দেই নি।