বিদেশ যেতে করোনা পরীক্ষার সনদ (নেগেটিভ) বাধ্যতামূলক করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে সিলেটে আলাদা বুথ স্থাপন করেছে সিভিল সার্জন অফিস। আগামী ২৩ জুলাই থেকে এ বুথের কার্যক্রম শুরু হবে।
বিদেশগামীরা সিভিল সার্জন অফিসে এসে রেজিস্ট্রেশন করে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা জমা দিবেন। ৩৫০০ টাকা ফি প্রদান করে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিমান টিকিটের ফটোকপি জমা দিয়ে ৭২ ঘণ্টা পূর্বে নমুনা জমা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।
সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, বর্তমানে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের একটি বুথে সাধারণ নমুনা পরীক্ষার্থীর সাথেই এ কার্যক্রম চলমান আছে। তবে সম্প্রতি করোনা (নেগেটিভ) সনদ বাধ্যতামূলক করার পর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আলাদা বুথে রেজিস্ট্রেশন অ আলাদা বুথে নমুনা জমা দেয়ার মধ্যদিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ১৮ জুলাই বিকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে বিদেশ গমনকারীদের জন্য আগামী ২৩ জুলাই থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সনদ (নেগেটিভ) নেয়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেয়।
পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ নিয়ে বিদেশ যেতে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে কারণে বিদেশ গমনেচ্ছুদের সরকার ঘোষিত কোভিড-১৯ পরীক্ষা সংক্রান্ত নিম্নরূপ নির্দেশনাবলী প্রতিপালন করতে হবে।
নির্দেশনাবলী হলো- যাত্রার ৭২ ঘণ্টার পূর্বে কোনো নমুনা সংগ্রহ করা হবে না এবং যাত্রার ২৪ ঘণ্টা পূর্বে রিপোর্ট নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; নমুনা প্রদানের সময় পাসপোর্টসহ যাত্রীদের বিমান টিকেট ও পাসপোর্ট উপস্থাপন এবং নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে; কোভিড-১৯ পরীক্ষার নিমিত্তে নির্দিষ্টকৃত পরীক্ষাগার যে জেলায় অবস্থিত সে জেলার সিভিল সার্জন অফিসে স্থাপিত পৃথক বুথে তাদের নমুনা প্রদান করবেন; নমুনা প্রদানের পর থেকে যাত্রার সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবশ্যিকভাবে আইসোলেশনে থাকবেন; বিদেশ যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা সনদ প্রাপ্তির জন্য ল্যাবে গিয়ে নমুনা প্রদানের ক্ষেত্রে ৩৫০০ টাকা এবং বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহে ৪৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৬টি সরকারি হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেয়া হয়। হাসপাতালগুলো হলো, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ।
মন্ত্রনালয়ের এমন নির্দেশনার পর বিদেশযাত্রীদের নিরাপদে করোনা পরীক্ষা ও ভোগান্তি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রেজিস্ত্রেশন ও আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আলাদা বুথের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার উদ্যগ নেয়া হয়।