আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নির্বাচনী কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এ আদেশ দেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম রাখাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাদীপক্ষের ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে কোনো কার্যনির্বাহী কমিটি যাতে গঠন না করা হয় সেজন্য বিবাদীদের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ৯ মার্চ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে বিবাদীপক্ষ সময় প্রার্থনা করলে নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে ১৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। শুনানির পরদিন আজ এ আদেশ দেন আদালত।
সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নতুন অন্তর্ভুক্ত বৈধ ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে গত ৭ মার্চ দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৯ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। পেশাদার সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও প্রেস ক্লাবের একটি চক্রের কারণে তারা বারবার সদস্য পদের আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। তবে, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে গত ৫ ডিসেম্বর এই ১৯ জনকে সদস্যপদ দেওয়া হয়।
এরপর ওই চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করে বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে একটি বৈঠক করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। শুধু তাই নয়, বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ২৩ মার্চ নির্বাচন করার পাঁয়তারা করা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে জেহাদুল ইসলাম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে চক্রটি অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছিল। এ নিয়ে বারবার কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই আমরা সঠিক বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই।