আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বেকারত্ব দূর করতে তিন বন্ধু মিলে গড়ে তুলেছেন মিশ্র ফলের বাগান। উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার মোঃ ওমর ফারুক, সাদ্দাম হোসেন, সাহাদত হোসেন লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি নিয়ে তিন বন্ধু এখন হয়ে উঠেছেন সফল উদ্দোক্তা। তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এ ধরনের বাগান করতে অন্যরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
আকাশ সংস্কৃতি ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কাসেম মোড় এলাকায় সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে ৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগানটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে বাগানটিতে থাই পেয়ারা ফলন দেওয়া শুরু করেছে। এখন পেয়ারার বাগিং কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রি শুরু হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার পেয়ারা বাগিং করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৯ থেকে ১০ হাজারের মতো বাগিং করা হবে। ফলনের অপেক্ষায় আছে মাল্টা ও আপেল কুল।
সাদ্দাম হোসেন জানিয়েছেন, লেখাপড়া শেষ করে বেকার বসে না থেকে তিন বন্ধু মিলে বাণিজ্যিকভাবে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ১ হাজার পেয়ারা গাছ, ১ শত মাল্টা গাছ ও কিছু আপেল কুল গাছ রয়েছে গতবছর কিছু ফলন হয়েছিল যা প্রায় ৭০ হাজারের মত বিক্রি করেছিলাম। এবার পেয়ারার পুরোদমে ফলন পেয়েছি আশা করি প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পারব। আগামী বছরেই আসল টাকা তুলে আমরা লাভের মুখ দেখব।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনই অনেকে দেখতে আসছেন। এর মধ্যে বেকার যুবকরাও আছেন। বাগান দেখে তারা মুগ্ধ হচ্ছেন। পাশাপাশি বাগান করার খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিচ্ছেন। তারাও এ ধরনের বাগান করতে আগ্রহী। মিশ্র ফল চাষ করে অনেকেই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একদিকে আমাদের পুষ্টি চাহিদা মিটবে অন্যদিকে বিদেশি ফল আমদানি অনেকাংশেই হ্রাস পাবে।
তিন বন্ধুর মিশ্র ফল বাগান নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, কৃষিকে কাজে লাগিয়ে তারা সফল হচ্ছে। তিন বন্ধুর এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় আমরা সব সময় তাদেরকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি। এমন উদ্যোগের ফলে অনেকেই এখন সফল হচ্ছেন এ রকম বাগান করতে কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।