সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিকে নিম্নাঞ্চল যেমন প্লাবিত হচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।
বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী, এনায়েতপুর থানার দক্ষিণাঞ্চলসহ কাজিপুরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পাঁচঠাকুরী গ্রামের শেষ চিহ্ন শতবর্ষের সাক্ষী মসজিদটি বিলীন হয়ে গেলো চোখের সামনে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরেছে যমুনা পারের মানুষ।
শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় একদিকে যমুনায় হাজারো মানুষের বিলাপ অন্য দিকে পাউবোর নির্বাক ব্যবস্থাপনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ গতকাল থেকে এখানে ভাঙ্গন শুরু হলেও পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যদি নৌকাযোগে বালির বস্তা ফেলা হতো তাহলে আজ মসজিদটি রক্ষা হতো। গ্রামের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন মসজিদটি বিলীনের পর থেকে মানুষ শুধু চোখের পানি ফেলছে।
তাদের দাবি, এই মুহূর্তে সরকার যদি এখানে দ্রুত ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেটুকু সম্বল আছে সেটাও যমুনার পেটে চলে যাবে। এলাকাবাসীর দাবি ত্রাণ নয়, চাই নিশ্চিন্তে ঘুমানোর গ্যারান্টি। এজন্য তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানান।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই দুপুরে পাঁচঠাকুরী গ্রামে আকস্মিকভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেই ভয়াবহ ভাঙনে মানুষ তাদের সহায় সম্বল হারিয়ে এখনও বাঁধের ওপর জীবনযাপন করছে। নতুন করে ভাঙনের দৃশ্য দেখে পুরো এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কিত।
উৎসঃ যমুনা টেলিভিশন