আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে গত (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যালয়টির তিনটি শুন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে চাকরি না পাওয়া অনেক ভুক্তভোগী দিশেহারা হয়ে ম্যানেজিং কমিটির পিছে পিছে ঘুরছেন টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য।
সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, প্রায় এক বসর আগে বিদ্যালয়টির শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ প্রকাশিত হয়। ম্যানেজিং কমিটি তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লক্ষটাকা নেয়, তবে তিনি চাকরি পাননি। এখন ম্যানেজিং কমিটির কাছে ঘুরছেন টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। এছাড়াও জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন তার সামনেই অনেক পার্থীর টাকা এক বছর আগেই নিয়ে রেখেছে তারাও চাকরি পাননি এবং টাকাও ফেরত দিচ্ছে না এখন।
নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করা আব্দুল্লাহর অভিযোগ, তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করে ম্যানেজিং কমিটি। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই তার থেকে নেওয়া হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তবে এই পদে নিয়োগ পাওয়া অন্য একজন ১৪ লক্ষ টাকা দেয় যার কারনে আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে দেয় ম্যানেজিং কমিটি। এছাড়াও আব্দুল্লাহ জানান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটি অনেক আবেদনকারীর থেকে টাকা পয়সা নিয়েছে তার পরও তাদের নিয়োগ দেয়নি। এখন এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি আমরা কেউ অভিযোগ করতে পারছি না কারণ আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা আটকা পড়ে রয়েছে ম্যানেজিং কমিটির কাছে যদি টাকাগুলো ফেরত না দেয় সেই ভয়ে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জয়নাল আবেদিন জানান, কোন প্রার্থী যদি আর্থিক লেনদেন করে থাকে সেটার দায়ভার আমি নিতে পারবো না। আমার সাথে কোন প্রার্থীর আর্থিক লেনদেন হয় নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকমান আলী জানিয়েছেন, নিয়োগ পরীক্ষা উন্মুক্ত ভাবে সবার সামনে নেয়া হয়েছে এখানে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। তবে কেউ যদি নিয়োগ পরীক্ষার আগে কিংবা পরে আর্থিক লেনদেন করে সেটার দায়ভার আমরা নিতে পারব না। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি যদি কেউ নিয়োগ পরীক্ষার আগে টাকা-পয়সার লেনদেন করে থাকে সেটার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করা। এখন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির হাতে সকল ক্ষমতা তারা চাইলে নিয়োগ রাখতে পারে না চাইলে বাতিল করতে পারে।