সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিয়ারা মেলা প্রতিবছরের মতো এবারও বৈশাখ মাসের প্রত্যেক শনিবার মেলা বসছে। মেলাটি বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে আছে। তবে মেলা হলেই স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক জন খাজনার নামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি সরকারি ভাবে ডাক না হওয়ায় জায়গার মালিকেরা প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের থেকে নির্দিষ্ট হারে টাকা আদায় করেন। তারপরও ক্রেতারা কাঠের কোন পণ্য ক্রয়করলেই তাদের থেকে খাজনার নামে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদা আদায়ের রশিদে গ্রামের কবরস্থানের উন্নয়নকল্পে লেখা থাকলেও এই বিষয়টি জানেন না কবরস্থান কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলম। এছাড়াও বিনা রসিদেও খাজনা আদায় করা হয় বলে জানাগেছে।
সরেজমিনে এ মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মেলার বিভিন্ন অংশে কিছু লোকজন কাঠের পণ্য কেনা ক্রেতাদের থেকে খাজনার নামে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে ২০০ টাকা খাজনা দিলে তাকে রশিদ দেয়া হচ্ছে, তবে রশিতে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হচ্ছে না। আর ২০০ টাকার কম দিলে তাকে কোন রশিদ দেওয়া হয় না। চাঁদা উত্তোলন করা কেউই প্রতিবেদক এর কাছে কিছু বলতে চাইনি তবে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়েছেন, এই টাকা ৩ ভাগ করে একভাগ কবরস্থানের উন্নয়নের জন্য। আর এক ভাগ জায়গার মালিকদের জন্য। আর এক ভাগ তারা নেয়। এছাড়াও প্রত্যেক মেলায় প্রতিটি দোকান থেকে বিয়ারা ইউং স্টার স্পোটিং ক্লাব এর নামে রশিদ দিয়ে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। বাস্তবে এই নামের কোন ক্লাবের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা জানিয়েছেন, মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উঠেছিল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এ মেলাটি বৈশাখ মাসের প্রতি শনিবার সরকারি ডাক ছাড়াই অনেক পূর্বে থেকেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এবার বলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া তারা মেলা বসাতে পারবে না এবং সরকারকে নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। তারা যেভাবে খাজনার নামে চাঁদা আদায় করছে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ যেহেতু কয়েকটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে আমরা তাদেরকে জানিয়েছি বিগত মেলায় খাজনা আদায়ের কিছু অংশ যেন সরকারি খাতে জমা দেয়।