রাজবাড়ী জেলায় একসময় ২০টি সিনেমা হল থাকলেও বন্ধ হয়ে এখন আছে মাত্র ২টি। এই দুটি হলো- সদরের সাধনা আর কালুখালী উপজেলার বৈশাখী। তাও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহ থেকে রাজবাড়ীর সাধনা সিনেমা হলটি চালু করা হয়েছে। অথচ হলটি দর্শক খরায় ভুগছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় পৌর শহরের সাধনা সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বীর’ সিনেমা চলছে। সকাল সাড়ে ১১টায় মর্নিং শো শুরুর হয়। অথচ দুপুর সাড়ে বারোটায় গিয়ে দেখা যায় দর্শক আছেন মাত্র ৩ জন। তাই সাড়ে ১২টাতে সিনেমা শুরু হয়নি।
সাধনা সিনেমা হলের টিকিট বিক্রেতা কৃঞ্চ কর্মকার জানান, বর্তমানে এই সিনেমা হলে লোকবল একেবারেই নেই। মাত্র দুইজন দিয়ে চলছে সিনেমা হলটি। তিনি রয়েছেন টিকিট বিক্রির দায়িত্বে। আরেকজন আছেন সিনেমা চালানো ও সিনেমা হল ঝাড়ু মোছার কাজে।
তিনি বলেন, ‘দর্শক নেই বললেই চলে। মর্নিং শোতে মাত্র ৩টি টিকিট বিক্রি করেছি। দিনে দুই থেকে তিনটি শো চালানো হয়। প্রতিটি শোতেই তিন চারজন করে দর্শক হয়।’
সিনেমা দেখতে আসা শামীম জানান, কাজ নেই তাই ভাবলাম সিনেমা দেখি। ৫৫০ সিটের সিনেমা হলটি এখন ভবঘুরেদের সময় কাটানোর স্থানে পরিণত হয়েছে। সাধনা হল পৌরসভার হলেও এটি ভাড়া দেওয়া হয়।
সাধনা সিনেমা হলের তত্বাবধায়ক তোফাজ্জল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একসময় সিনেমা হল খুবই জাকজমকপূর্ণ ছিল। ভালো সিনেমা দেখতে দর্শকরা ভিড় করত। তবে, আগের মতো আর হল চলে না। আয়ও গেছে কমে। ভালো সিনেমার অভাবে দর্শকরা এখন আর সিনেমা হলে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সিনেমা ব্যবসা নেই। কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ যে টাকার টিকিট বিক্রি হয় তাতে প্রতি মাসে আরও পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়। পুরাতন ব্যবসা আর কত দিন চালাতে পারব জানি না।’