
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুলতবি সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। পরে দ্বিতীয় দিন বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে তার জেরা শেষ হয়। এরপর আদালতে সাক্ষ্য দেন ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। দ্বিতীয় দিনে তার (সিফাত) সম্পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি। এতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিচার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করে তৃতীয় দিনে তা গ্রহণ করা হবে বলে আদেশ দেন আদালত।
আজ সকাল পৌনে ১০ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, প্রথম দফায় তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলার ৮৩ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রথম দিনে সাক্ষ্যদানের জন্য বাদী ও মামলার ২ নম্বর সাক্ষীসহ চার জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে গত দুই দিনে শুধু দুই জনের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।