করোনা মহামারিতে রোগীদের সাথে প্রতারণার খবর ফাঁস হবার পর রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক পলাতক মো. সাহেদের অনেক অপকর্মের খবর আসছে। টঙ্গী ও এর আশপাশের এলাকায় রিকশা-ভ্যান থেকে সাহেদ এককালীন ও মাসিক চুক্তিতে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। সাহেদের অপকর্মের তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে র্যাব।
জানা গেছে, টঙ্গী ও এর আশপাশের এলাকায় চলাচলের জন্য রিকশা প্রতি সাহেদকে প্রথমে দিতে হতো দুই হাজার টাকা। তারপর মাসিক চুক্তিতে দিতে হতো ৫০০শ টাকা করে। এই টাকার বিনিময়ে সাহেদ রিকশার মালিক বা চালকদের দিতেন একটি রিকশার লাইসেন্স। এটি থাকলে পুলিশ তাদের কখনও হয়রানি করতো না।
র্যাবের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা ও তুরাগে বহু অবৈধ রিকশা-ভ্যান চলাচল করে। যাদের রিকশার লাইসেন্স থাকতো না তারা যেতো সাহেদের কাছে। রিকশা চুরি ও পুলিশি হয়রানি ঠেকাতে নিজের নামে লাইসেন্স করতেন সাহেদ। এজন্য প্রথমে তিনি তাদের কাছ থেকে রিকশা-ভ্যান প্রতি নিতেন দুই হাজার টাকা।
এখানেই সাহেদ থেমে থাকতো না। এরপর প্রতিমাসে পাঁচশ টাকা করে নিতেন তাদের কাছ থকে। প্রতারক সাহেদের নামে প্রায় সাতশ রিকশার লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্স বইতে সাহেদের নিজের নাম, পিতার নাম, লাইসেন্স নম্বর, ঠিকানা সব কিছুই দেয়া থাকতো। মজার ব্যাপার হচ্ছে, লাইসেন্সের বইয়ে সাহেদ নিজের মোবাইল নম্বর দিতেন। ফলে কেউ হয়রানি করতো না।
উল্লেখ্য, করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেওয়া, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়। উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে র্যাব। সেই মামলায় সাহেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
উৎসঃ যমুনা টেলিভিশন