আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ছেলে শাহেদ করিম। ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন মোহাম্মদ সাহেদ। শাহেদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরে। এখানে বর্তমানে তার আর কিছুই নেই। সব বিক্রি করে অনেক আগেই তারা পাড়ি জমিয়েছেন থাকেন ঢাকাতে। তার বাবার নাম সিরাজুল করিম ও মায়ের নাম মিসেস সাফিয়া করিম। এক সময় তার মা সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদিকা ছিলেন।
তবে, সাতক্ষীরার আপামর মানুষ আলোচিত এই মোহাম্মদ সাহেদ ঘৃণীত অপরাধের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। তাকে বেশিরভাগ মানুষ না চিনলেও সবাই এক বাক্যে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন। এদিকে পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ শাহেদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তে নেমেছেন। সাতক্ষীরার দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রত্যেকেই তার অপকর্মের শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে পুলিশ তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং তার অপরাধ কর্মকান্ডের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে মাঠে নেমেছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও মা মিসেস সাফিয়া করিম সাহেদের অনৈতিক কর্মকান্ড ও তার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। শাহেদ বরাবরই ঢাকাতে থাকতো সাতক্ষীরায় আসতো কম। সাতক্ষীরার মানুষ তার বিরুদ্ধে তেমন কিছুই জানতো না। তার ভিন্নধর্মী শারিরীক অবয়ব ও টেলিভিশন টকশো’তে তাকে দেখে চিনতো, কিন্তু শাহেদ করিম যে সাতক্ষীরার সেটা বেশিরভাগ মানুষ জানতো না। তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা অনেক আগেই তাদের নামে শহরের প্রাণকেন্দ্রে কামালনগরে যে করিম সুপার মার্কেট ও তাদের বসতভিটা ছিল তা বিক্রি করে স্থায়ীভাবে সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকায় চলে যান।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য সেবার নামে সাহেদ যেভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে এটি খুবই লজ্জাজনক ও দু:খজনক। আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারকের শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
