আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি এখনও রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে চান তার আত্মীয়-স্বজনরা। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সাহারা খাতুনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ওনার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই সঙ্কটাপন্ন। তিনি এখনও আইসিইউতেই আছেন। তার চেতনা আছে তবে মুখে কোনও খাবার খেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই উন্নত চিকিৎসা চায়। আমরাও চাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্ভব হলে দেশের বাইরে নেয়া হোক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো ব্যবস্থা (বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে) করছেন। কিন্তু আমরা কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানতে পারিনি।
৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে গত ২ জুন রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আফসানার অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার নেগেটিভ এসেছে।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।