দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ৩ দফায় হানা দিয়েছে বন্যা। এতে বাংলাদেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান ও সমন্বয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় দেশের ৩৩টি জেলার ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৮১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৩ জন। ১৬৫টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। উপদ্রুত ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৬৬টি।
জামালপুরে ১৫ জন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন। মৃতদের অধিকাংশই শিশু।
দুর্যোগ প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যাকবলিত ৩৩টি জেলায় এক হাজার ২৯৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৩৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪০৮টি। এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫০০ টন ত্রাণের চাল, চার কোটি ২৭ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য কেনা বাবদ এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা, গো-খাদ্য কেনা বাবদ তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ৬৮ হাজারটি শুকনা খাবারের প্যাকেট, ৪০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহ নির্মাণের জন্য ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।