চাঁদপুরের কচুয়ায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির ইফতার মাহফিলে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপির মহিলা নেত্রী নাজমুন নাহার বেবিও ছিলেন।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর ড. মিলন ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ না করে পাশের হোসেনপুর এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।
জানা গেছে, সোমবার বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদর ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। একই স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। পরে এহছানুল হক মিলন ওই সভায় যোগদান না করে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিলন ও তাঁর স্ত্রী আঘাত না পেলেও গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন তাঁর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের জবাব দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। পরে হোসেনপুর এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী কারও নির্দেশ আছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিএনপির গ্রুপিংয়ের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে তাঁর গাড়িতে তুলে দিই।’