অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের লকডাউনে নতুন এক রীতি চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারকা ক্রীড়াবিদরা অংশ নিচ্ছেন লাইভ আড্ডায়। দেশের ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও চলছে এই রীতি। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) উদ্যোগে তেমনই এক আড্ডায় মেতেছিলেন সাফের ফুটবল তারকারা।
প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার এই আড্ডায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। এছাড়া আড্ডায় ছিলেন ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিগান, নেপালের অধিনায়ক কিরন কুমার, ভুটানের অধিনায়ক করমা সেদরুপ শেরিং, মালদ্বীপ অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি এবং পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইউসুফ ভাট। এছাড়া শ্রীলঙ্কা থেকে ছিলেন একজন রেফারি। আর এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন দেশের অন্যতম কর্পোরেট ট্রেইনার ডন সামদানি।
তাদের আড্ডায় উঠে আসে সাফ দেশগুলোর করোনা মোকাবিলার চিত্র। এছাড়া ফুটবল কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায়সহ বিভিন্ন দিকও স্থান পায় তাদের আলোচনায়। জামাল ভূঁইয়া এবং পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইউসুফ ভাট এই আড্ডায় যুক্ত হন ডেনমার্ক থেকে। বাকিরা সবাই নিজের দেশ থেকে।
আড্ডায় বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া চলমান পরিস্থিতিকে দুঃসময় হিসেবেই তুলে ধরেন, ‘খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। ফুটবল খেলতে পারছি না। আমি এখন পরিবারের সঙ্গে ডেনমার্কে অবস্থান করছি। তবে এখানকার পরিস্থিতি বাংলাদেশের সঙ্গে একেবারেই মেলানো যায় না। বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা অন্যরকম। বিধি নিষেধ খুব বেশি মানতে রাজি নয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের মাঝেও তাদের ধৈর্য্য একেবারেই কম। তাই দেশে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আশা করছি সামনের মাসের মধ্যে প্রকোপ কমে আসতে শুরু করবে। আমরা সবাই সেই সময়ের অপেক্ষায় আছি।’
অপর দিকে সুদিনের অপেক্ষায় আছেন ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ, ‘আসলে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আশা করছি, আমরা অবশ্যই একদিন এই ভাইরাসকে হারাতে পারবো।’
তুলনামূলকভাবে ভুটানের পরিস্থিতি ভালো। ভুটানের অধিনায়ক কারমা জানালেন সবাই নিয়ম মেনে চলছে বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে, ‘আমাদের দেশটা ছোট। এখানে সরকারের বিধি-নিষেধ আমরা যথাযথভাবে মেনে চলছি বলেই সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।’
মালদ্বীপ অধিনায়ক আকরামের জন্য এই পরিস্থিতি হয়তো কখনও ভোলার নয়। টিসি স্পোর্টসের হয়ে এএফসি কাপে বাংলাদেশে খেলে গেছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় করোনা পরিস্থিতিতে পুরো দল নিয়ে আটকে ছিলেন দীর্ঘদিন। এখন দেশে ফিরলেও ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন, ‘প্রায় দু মাস ধরে ফুটবলের বাইরে আছি। টিসি স্পোর্টসের হয়ে এএফসি কাপে শেষ খেলার পর থেকে ঘরেই বন্দি। এভাবে ফুটবল ছাড়া থাকাটা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। কিন্তু এই রোগকে মোকাবিলা করতে হলে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।’
পাকিস্তান গোলরক্ষক ইউসুফ ঘরবন্দি থাকলেও শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প দেখছেন না। অপেক্ষায় আছেন মাঠে ফেরার, ‘ডেনমার্কে আমি প্রতিদিন নিয়ম করে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। এটা না করলে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বো। আর ফুটবলের কারণেই আজ আমরা এখানে এক হতে পেরেছি। আশা করছি খুব দ্রুতই অবস্থার উন্নতি ঘটবে। আমরা মাঠে ফিরতে পারবো।’