সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সরকারের মদদেই এসব ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এমন মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এদিকে, নয়া পল্টনে সংবাদ ব্রিফিংয়েও একই অভিযোগ করেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
এর আগে, গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় গিয়ে বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ওইদিন বিকেলেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন এ মার্কিন দূত।
বিএনপির দাবি, সাধারণ মানুষের মতো বিদেশিরাও এখন আতঙ্কে আছে বাংলাদেশে। আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি এখন বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এটি যে সরকারের মদদে, সরকারের সহযোগিতায় ঘটছে তা তাদের কথাবার্তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দুপুরে নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, সরকারই উস্কানি দিয়ে, লোক পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। এর আগেও বর্তমান সরকারের উস্কানিতে মোহাম্মদপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যারা রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তারা কাজটি ঠিক করেননি।