![InShot_20220925_222024978](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2022/09/InShot_20220925_222024978-scaled.jpg)
আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ সরকারি খাস জমি নামপত্তন জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আট কর্মচারিসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে হাজির থাকা সকল আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাড. মজিবর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি শাখার উচ্চমান সহকারি রেকর্ড কিপার পুতুল রানী বৈরাগি, অফিস সহকারি (রেকর্ড রুম) শ্যামল কুমার আচার্য, মুদ্রাক্ষরিক বেগম জেসমিন নাহার, সার্টিফিকেট অফিসার (রেকর্ড রুম) মো. সামছুজ্জামান, অফিস সহকারি আফসার উদ্দিন ও আঃ মজিদ সরদার (পলাতক), ওয়াজেদ সরদার ও মোহাম্মাদ আলী সরদার। মামলা নং ২৮/১৭।
আইনজীবী মজিবর রহমান জানান, সাতক্ষীরা শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১০৯, ৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আব্দুল হালিম। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে একই দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের আলাদা মামলায় (১১/১৭) আসামী শামীমা আক্তার, শ্যামল কুমার আচার্য, জেসমিন নাহার, সেলিমা সুলতানা, আফসার উদ্দিন ও মো: হোসেন আলীকে ৭ বছর কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীদেরও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।