আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: বেতনা নদীর পাড়ের মাটি কেটে তৈরি করা হয় ইট। তীরের মাটি যায় ভাটায় ভাটায়। একটি অসাধু চক্র নদীর তীর কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করতো এ মাটি। এর প্রভাবে ক্ষতির মুখে বেতনার তীর রক্ষা বাঁধ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারের আইন ও নির্দেশ অমান্য করে সদর উপজেলার বিনেরপোতায় ইটভাটা মালিকরা বেতনা নদীর চরের মাটি দিয়ে ইট তৈরি ও চর দখল করে ভাটার কার্যক্রম পারিচালিত করায় এ দশা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ‘শুকর আলী, রেজাউল ইসলাম, লিয়াকত, মেহের আলীসহ এ এলাকার ভাটা মালিকরা নদীর পারের জমিতে গড়ে তুলেছে ইটভাটা। বেতনা নদী থেকে মাটি কেটে ভাটার ইট তৈরি করায় আজ এই ভাঙন ঝুঁকিতে আমরা। এলাকাবাসী কিছু বলতে গেলে নানান ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয় তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা থেকে বেতনা নদীর দুপাশে গড়ে ওঠা ইটভাটার জন্য বেতনা নদীর ভিতর থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে মৎস্যঘের ও কয়েকটি গ্রাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মাটি খেকোরা বেপরোয়া। বেতনা নদীর ভেতর থেকে অবৈধভাবে মাটি তুলে নেওয়ায় কারণে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর বাঁধ। নদীর বুকে এক্সকাভেটর বসিয়ে প্রভাবশালীরা অবাধে কোটি কোটি টাকার মাটি কেটে নিয়েছে। ফলে আজ বেতনার এই করুণ দশা। যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে মৎস্যঘের ও পাশ্ববর্তী গ্রামগুলো। একটি চক্র ক্ষমতার দাপট এবং লোকজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনে-রাতে মাটি কেটে ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজে লাগিয়েছে।
ইট বহনের জন্য ১০ চাকার ট্রাক, ট্রলিসহ ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে হুমকির মুখে বেতনা নদীর দুপাশের বাঁধ। শুকনো মৌসুমে নিয়মিত মাটি কাটার ফলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বেতনা নদী। নদীর চরে গড়ে উঠেছে ইট ভাটার কার্যক্রম। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি চক্র এ নদীর গতিপথসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রভাবশালীদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাটি চুরির জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বেতনা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং বর্তমানে নদীর বাঁধ ভাঙন রক্ষায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।