আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ কুলতলি খালটিতে গণউৎসব চলছে। দখলের যে যার মতো দখল করে নিচ্ছে খালটি। এতে খালটির অস্তিত্ব রক্ষা করা দায় হয়ে পড়েছ। খাল খাদকদের রুখবে কে? সরকার কৃষি জমি বাঁচিয়ে রাখতে খাল খনন থেকে শুরু করে দখলমুক্ত করতে নানা ধারনের পদক্ষেপ নিলেও এ খালে তার আলামত পাওয়া যায়নি। নতুন দখলদারদের রুখতে তেমন কোন ভূমিকা নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাজ করার অজুহাতে খালটিতে পানি ঢুকতে না দেওয়ায় যে যার মতো দখল করে নিচ্ছে। যার জমির সামনে পড়ছে সেই ব্যক্তি খালের জায়গা ভরাট করে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ খায়েশ করে খালটি দখল করে সেখানে পুকুর কাটছেন। কেউ করছের মাছের ঘের। কেউ আবার কাঁকড়ার খামার করছেন। এতকিছুর পরও প্রশাসন রয়েছে কুম্ভকর্ণের ভূমিকায়।
এভাবে দখল হতে থাকলে বর্ষা মৌসুমীতে জলাবদ্ধতায় ভুগবে এলাকাবাসি। এলাকাটিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। দখলোৎসব চলতে থাকলে নষ্ট হবে হাজার হাজার বিঘার জমির ধান। পানির নিচে থাকবে এই এলাকার মৎস্য চাষীদের ঘের। কুলতলি খাল দিয়ে চারটি পৃথক এলাকার প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন হয়।
লবণাক্তার কারণে বর্ষা মৌসুমে একবার ধান লাগাতে পারে। খালটি দখলের কারণে সামনে বর্ষার পানি নিষ্কাশন নিয়ে চিন্তায় আছে কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা দখলের বিষয়টি বার বার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আইনুল হক খালটি গণদখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নোটিশ করেও দখল বন্ধ করা যাচ্ছে না। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।