আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনি: সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড. এম শাহ আলমের উপর হামলা ও তার ল.চেম্বার ভাংচুরের ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে এড. এম শাহ আলম বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা হলেন, এড. এসএম হায়দার,এড. এসএম সালাহ উদ্দিন, এড. আব্দুল মজিদ(২), এড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ, এড. এবিএম সেলিম, এড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, এড. নুরুল আমিন ও এড. সাইফুজ্জামান জিকো।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে বাদি তার নিজ চেম্বারে বসে মামলার নথি দেখছিলেন। এ সময় এড. এসএম হায়দার, এড. এসএম সালাহ উদ্দিন ও এড. মজিদ(২) এর নির্দেশে ও হুকুমে সকল আসামীরা তার চেম্বারে ঢোকে। এ সময় আসামী এড আব্দুল লতিফ তাকে বলে যে শুয়োরের বাচ্চা তোকে আজ শেষ করে দেব। আব্দুল লতিফ চেয়ার তুলে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করার চেষ্টা করলে বাদি হাত দিয়ে প্রতিহত করেন। আসামী সালাহ উদ্দিন হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ার তুলে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে বাদি তা প্রতিহত করেন।
এ সময় বাদি মাটিতে পড়ে গেলে আসামী এখলেচার আলী বাচ্চু তাকে পানির বোতল দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আসামী মোঃ নিজামউদ্দিন, খায়রুল বদিউজ্জামান ও নুরুল আমিন বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সম্মানহানি করে। সকল আসামীরা ভীতি প্রদর্শনের একপর্যায়ে এখলেছার আলী বাচ্চু ইট দিয়ে চেম্বারের ২০ হাজারজ টাকা মূল্যের ও ৯ নং আসামী নুরুল আমিন দরজার ৩০ হাজার টাকা মূল্যের থাই গ্লাস ভাঙচুর করে।
আসামী সাফিুজ্জামান জিকো বাদির চেয়ার ভাঙিয়া ও এসির তার ছিড়িয়া ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি করে। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা এগিয়ে এলে সকল আসামী ইট ও লাঠিসোঠাসহ তাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি থানায় এজাহার জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত সোমবার আশাশুনি থানার একটি ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এড. আব্দুল লতিফকে কটুক্তি করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহারে উল্লেখিত আইনজীবীরা এড. এম শাহ আলমের চেম্বারে এসে হামলা ও ভাঙচুর চালান।