
আবদুল্লাহ আল মামুন,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মরিচ্চাপ নদী ভয়ঙ্করভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। নদীর ধারে থাকা বেড়িবাঁধের প্রায় দুইশ ফুট অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে তেতুলিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ কওমিয়া ও হাফিজিয়া এতিমখানার একটি কক্ষ ইতোমধ্যেই নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, বাঁধে ধস প্রায় তিন মাস আগে দেখা দেওয়ার পর বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে নদী আরও দু’টি জায়গায় ধসের কবলে পড়েছে।
জানা গেছে, নদীর ধসের কবলে পড়া জায়গাগুলোতে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ পুঁতে ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করে ভাঙনরোধের চেষ্টা করছেন। বিলীন হওয়া অংশের পাশে থাকা ভবন থেকে মালামাল সরানোরও কাজ চলছে।
গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুপুরের জোয়ারে মসজিদের পাশে ১০–১২ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাতের জোয়ারে আরও সাত থেকে আট ফুট ভেঙে গেছে। রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, পাউবোর কাউকে না পেয়ে আমরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ কিনে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছি।
মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, এক বছর আগে নদী পুনঃখনন করা হলেও পাউবো কর্মকর্তারা ঠিকমতো তত্ত্বাবধান করেননি। তাতে একের পর এক ভাঙন হয়েছে।
পাউবো উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাশকিয়া বলেন, স্থানীয়দের হাতে ৫০টি জিও ব্যাগ দিয়ে দিয়েছি। বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, বাঁধ বিলীন হওয়ার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।