
আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ ভারতের পাসপোর্ট যাত্রী ও ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী সাতক্ষীরার ভোমরায় চেকপোস্টে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
ভারত থেকে নিয়ে আসা ব্যবহারের মালামাল রেখে দেওয়া ও আটক করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের থাকলেও এবার নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন ভারত থেকে ফিরে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা। ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রী পিয়া রানী পাসপোর্ট নাম্বার (এ০১০৫৫৭১৮) তিনি বলেন, আমি ভারতে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম বাড়ির জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনে দেশে ফিরে আসি কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশ করেই দেখি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের ঢোকার আগেই চেকপোস্টে পাসপোর্ট এন্ট্রি করে আমার ব্যাগ তল্লাশী করে। এসময় আমার পণ্যসামগ্রী নিয়ে নেয় চেকাররা। আমি আনেক অনুরোধ করে ছিলাম আমার পণ্যসামগ্রী ফেরত নিয়ার জন্য কিন্তু আমার কোন কথায় শুনলোনা তারা।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্টযাত্রীর কাছ থেকে যেসব পণ্য রেখে দিচ্ছে তার কোনো কাগজপত্র দিচ্ছে না চেকাররা। এই পণ্যগুলো কোথায় কীভাবে যাচ্ছে বা কাস্টমসে সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কি-না তার কোনো সঠিক প্রমাণাদি নেই। কারণ ওইসব পণ্যের মালিক থাকার পরও মালিকবিহীন দেখিয়ে তারা পণ্য আটক করছে। এর আগে চেকাররা পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে যেসব পণ্য আটক করতো তাদের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে কাস্টমসে জমা দিত। এবং যাত্রীদের এক কপি কাগজও দিয়ে দিত। ওই কাগজ নিয়ে যাত্রী কাস্টমস থেকে সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে পণ্য চালান ছাড় দিতো। এখন যাত্রীদের কোনো কাগজ দিচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা ওই পণ্য সরকারি শুল্ক দিয়ে নিতেও পারছে না। আটক সব পণ্য কাস্টমস গোডাউনে জমা করা হয় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের মাঝে।
এ রকম আরো ঘটনার অভিযোগ করেছেন পাসপোর্ট যাত্রী অমিত কুমার পাসপোর্ট নাম্বার (আর ৫৪৮৯৪৯৮), জাহির খান পাসপোর্ট নাম্বার (টি ৬৬৬১৯৮৩), গোত্তম পাসপোর্ট নাম্বার (এ ০১১০৫৫৭১৭) জানান, ভারত থেকে ফেরার সময় একাধিকবার হয়রানির শিকার হতে হয় চেকপোস্টে। সরকারের ট্রাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে ভারত গমন করি না। আমরা বৈধপথে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমনসহ বিভিন্ন কাজে সরকারকে শুল্ক দিয়ে ভারত গমন করি। এবং ভারতীয় পাসপের্ট যাত্রীরা ও একই অভিযোগ করে বলছে আমরা দেশে ট্যাক্স না দিলে ও বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশ সরকারকে ৫০০ টাকা ভ্রামন কর দিয়ে দেশে ফিরি। তারপর কাষ্টমস তল্লাশীর পর আমাদের বৈধ পণ্য নিয়ে হয়রানি করে। নিয়ম অনুযায়ী একজন পাসপোর্টযাত্রী ৪ শত ডলারের পন্য ক্রয় করতে পারবে। কিন্তু এর কোন কিছু তোয়াক্কা না করে মনগড়া আইন তৈরী করে কাজ করছে । আমরা বৈধ পাসপোর্ট ও সরকারের ভ্রমণ কর দিয়ে ভারত যাওয়াই আমাদের অপরাধ। আমরা এই হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই।
এই বিষয়ে ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডার ওহিদুজ্জামান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চেকপোস্টে সাধারণ যাত্রি বেশে মদ, ফেন্সিডিল নিয়ে আসে। এজন্য ব্যাগ তল্লশী করা হয়। চেকপোস্টে ব্যাগ তল্লাশীর নামে কেউ হয়রানি হয়েছে-এমন কোন অভিযোগ আমার জানা নেই।