আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে পুরনো বই বিক্রির সঙ্গে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী গুদাম থেকে ট্রাকে পুরাতন বইয়ের সঙ্গে নতুন বই তোলা হচ্ছিল। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিব।
অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে পুরনো বই বিক্রির কথা থাকলেও, সেই প্রক্রিয়ার আড়ালে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা জানান, বইগুলো ওজন না করেই ট্রাকে তোলা হচ্ছিল এবং পুরনো বইয়ের সঙ্গে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইও ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বইয়ের বান্ডিলে স্পষ্টভাবে ‘২০২৫’ সালের ছাপ দেখা গেছে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বান্ডেল বই সেখানে ছিল। এছাড়া ভোরে আরেকটি ট্রাকেও একইভাবে বই লোড করা হয়, যার মধ্যেও নতুন বই ছিল বলে অভিযোগ। বইয়ের ওজনেও নাকি বড় ধরনের গরমিল দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে শ্রমিকরা দ্রুত বই তোলা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা জানান, এর আগে আরেকটি ট্রাক বই লোড করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বইয়ের পরিমাণ বা বিস্তারিত বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন ও আব্দুল আহাদ বলেন, “এটা সরাসরি সরকারি সম্পদ লুট। টেন্ডারের আড়ালে নতুন বই বিক্রি করা মানে সরকারের রাজস্ব হরণ।” তারা ঘটনাটির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।
বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ (তেজারাত) বলেন, “পুরনো বই বিক্রির জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমোদিত ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন বই বিক্রির কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিব বলেন, “লেবাররা ভুল করে কিছু নতুন বই তুলেছিল। বিষয়টি বুঝতে পারার পর সেগুলো নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
