আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বরের নিদেশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কাদাবালু উত্তোলন করে দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। কয়েকদিন আগে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও সেটি আর বেশি দিন এগুয়নি। আবারও শুরু হয়েছে কাদাবালু উত্তোলন।
সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের বাঁশদহা বলফিল্ড এর পশ্চিম পাশে ঘটনাটি ঘটলেও অজানা কারণে প্রশাসনসহ কেউ কোন কথা বলছেন না।
বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে ড্রেজার মেশিনের মালিক শফিকুল ইসলাম কালু বলেন, বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দিচ্ছি। বিস্তারিত জানতে আপনারা মেম্বরের সাথে কথা বলেন।
সাব ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, বালিতো আমি উঠাচ্ছিনা। বালি উঠাচ্ছে মেম্বর বদরুজ্জামান খোকা ও চেয়ারম্যান মাস্টার মফিজুর রহমান। আমি সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজের তদারকি করছি। পুকুর থেকে কাঁদাবালি উত্তোলন করে রাস্তায় দেওয়া যাবে সিডিউলে এমন উল্লেখ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অতো লেখাপড়া জানিনা। একারণে সিডিউলে কি উল্লেখ আছে তা বলতে পারবোনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁশদহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মফিজুর রহমান ও ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর বদরুজ্জামান খোকা বালু উত্তোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়ায় বন্ধ হচ্ছেনা ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। বরং পুকুর থেকে কাঁদাবালু উত্তোলন করার কারণে মসজিদ ও মন্দির ধ্বসে পুকুরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছেননা।
মসজিদ ও মন্দিরের মাঝখানের পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে স্বাীকার করে বাঁশদহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর বদরুজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যানসহ পরিষদের সকল মেম্বরদের নিয়েই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করে রাস্তায় না দিলে কাজটি ফিরে যেত। এজন্য চেয়ারম্যান উপজেলায় কথা বলেছেন। তবে বালু উত্তোলনে আমাদের কোন স্বার্থ নেই।
বাঁশদহা ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মহাসীন আলী বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে পেরে কয়েক দিন আগে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে আবার বালু উত্তোলন হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে গেলে বালু উত্তোলন কারীরা বলেন, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নাকি তারা বালু উত্তোলন করছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী এয়াকুব আলী বলেন, রাস্তায় বালু ভরাট করা হচ্ছে বলে জেনেছি। তবে কোথা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেটি জানিনা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, বালু উত্তোলন মাঝে বন্ধ ছিল। তবে এখন বালু উত্তোলন হচ্ছে কিনা তা বলতে পারবোনা। বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।