আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সবচাইতে বড় গরুর হাট আবাদের হাটচলতি এই বছর ইজারা হয়নি । বাংলা ১৪৩০ সনের ইজারা বিজ্ঞপ্তি ঘোষিত হওয়ার পরও কেউ ইজারা গ্রহণে আগ্রহ না দেখানোয় সদর ইউএনওর নির্দেশে চলছে খাজনা আদায়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মধ্যে সবচাইতে বড় গরু বিক্রির হাট আবাদের হাট। বিগত বাংলা ১৪২৯ ইজারা সনে ভ্যাটসহ যথাক্রমে ১কোটি ৪০ লক্ষ ও ১৪২৮ সনে ভ্যাট সহ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় ইজারা হয় হাটটি। তবে নির্বাহী অফিসারের দেওয়া তথ্য মতে নিয়মানুযায়ী ১৪৩০ সনের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও কেউ ইজারা গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তাই ইজারা দেয়া হয়নি। ফলে ১৪৩০ সনের ১লা বৈশাখ থেকে চলছে খাজনা আদায়। তবে খাজনা আদায়ে পূর্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাদের হাটের পূর্বের এক ইজার গ্রহীতা জানান, ইজারা বিজ্ঞপ্তি যে হয়েছে সেটি আমরা জানতে পারিনি। নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইট ছাড়াও উন্মুক্ত মাইকিং এর মাধ্যমে ইজারা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এবার ধরনের কোন কিছু আমাদের চোখে পড়েনি। ফলে আমি ইজারা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারিনি।
আবাদের হাটের খাস কালেকশনের দায়িত থাকা নায়েব আমিন খান চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আগরদাড়ি ও শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সহায়তায় খাস আদায় হচ্ছে। প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও এখন প্রতিহাটে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খাজনা আদায় হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ‘এখানে তো আমি সমস্যার কিছু দেখছি না। খাজনা আদায়ের সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। তবে ইজারা গ্রহণে ইচ্ছুকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত ডেট লাইন পার হওয়ার পরও কেউ আবেদন না করায় খাস কালেকশন এর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন করে ইজারা প্রক্রিয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নতুনভাবে ইজারা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগামী সনে সকল হাটের সাথে আবারও ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।