ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি হচ্ছে। সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি এ দিনভর। সন্ধ্যার পর থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে জেলায়। প্রধান সড়কে কমতে শুরু করেছে যানবাহন চলাচল। তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরাও।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে ভার্চুয়ালি মিটিং করেছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক জানান, কৃষকদের জমিতে আমন ধান রয়েছে। প্রায় ৮০ ভাগ এখনও কাটা হয়নি। এ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় হলে কৃষকদের পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। মাঠে থাকা শীতকালীন সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এরই মধ্যে কৃষকদের গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জেলায় ৪৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৪৮ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও ১০১টি মেডিকেল টিম ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।