বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ বলেছেন এই বারের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান মেধা বৃত্তি শুরু হবে আর মেধার মানকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাব।
২৭ এপ্রিল (শনিবার) দুপুরে বান্দরবান জেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে আগামী ৮মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ এমন মন্তব্য করেন।
এসময় আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের জনগণ অত্যন্ত শান্তপ্রিয় এবং সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী আর তাদের কল্যাণের স্বার্থে আগামীতে আরেকবার বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সকলের সেবায় কাজ করে যেতে চায়।
মতবিনিময় সভায় আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মেধাবৃত্তি চালু করা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান করবে পরিষদ (প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে নুন্যতম দুই জন করে এবং তা নির্বাচিত হবার একশো দিনের মধ্যেই দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হবে)। স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্মার্ট শিক্ষার্থী এই স্লোগান কে সামনে রেখে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নির্বাচিত হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। মাদক, কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। বাল্যবিবাহ নির্মূলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা হবে। নারীর আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্ঠিতে কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার ঘোষিত গ্রাম হবে শহর কার্যক্রমকে প্রশাসনের সমন্বয়ে এগিয়ে নেয়া হবে। এছাড়াও জেলা লিগ্যাল এইড অফিস এর সহায়তায় বিনামূল্যে আইনি সেবা কার্যক্রমের বিষয়টি জোরালোভাবে প্রচার করা হবে যাতে সাধারন মানুষ বিনামূল্যে আইনি সেবা গ্রহনে লিগ্যাল এইড অফিসমুখী হয়।
প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা। এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে রাষ্ট্র। বান্দরবান সদর উপজেলার সর্বসাধারনের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, গ্রামীন সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবদ্ধতা নিরসন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করা হবে।
ছেলে-মেয়েদের ক্রীড়ামুখী রাখতে মাঠগুলোকে সংস্কার ও খেলা উপযোগী করা। উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রনয়ন করা হবে। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে গতিশীল করার মাধ্যমে বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে পরিষদ। ক্রীড়া কে এগিয়ে নিতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে গঠিত ক্লাবগুলোকে সচল করে ক্রীড়া সামগ্রীসহ বার্ষিক প্রনোদনার আওতায় আনা। এছাড়াও ফেডারেশন গুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন পূর্বক খেলোয়াড়দের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও তরুণ ও যুবসমাজকে নিয়মিত ক্রীড়ার অনুশীলন রেখে মাদকের আগ্রাসনকেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি সকল উন্নয়ন সংস্থা এবং প্রশাসনের সমন্বয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে একটি গঠনমূলক এবং শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে সদর উপজেলা পরিষদ। সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল হয়ে উঠবে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ এই স্বপ্নের বাস্তবিক রুপ দিতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত : আব্দুল কুদ্দুছ ২০০৯ সাল থেকে টানা ২মেয়াদে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দাযিত্ব পালন করেছেন এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি সদস্য, সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাগ্যকুল-কদুখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা । এছাড়া মসজিদ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্টানের সভাপতি ও ভূমিদাতা তিনি ।