ভরা মৌসুমে সরবরাহ ঠিক থাকলেও দাম কমছে না চালের। মিলার ও পাইকারদের দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। বলছেন, সরবরাহ পর্যায়ে দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান উৎপাদন কম হাওয়ায় ঘাটতি পড়েছে চালে, এমনটা দাবি করছেন মিলাররা। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকায় কাটছে না তাদের দুর্ভোগ।
এদিকে, বাজারে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও মিলছে না সুফল। সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, এক মাসের ব্যবধানে মোট চালের দাম বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। আর সরু চালের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা।
কথা হয় কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। এরমধ্যে বয়স্ক একজন ক্রেতা বললেন, এখন যে পরিস্থিতি, যে দর আছে, সে দরে কিনে খেতে হচ্ছে। আমরা তো পরিস্থিতির শিকার। আরেকজন যুবক বলেন, চালের দাম তো বাড়তি, আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কিনে খাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সরকার যেন সিন্ডিকেটের বিষয়টা দেখে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিআর২৮-চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে। মান ভেদে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকা কেজিতে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল ও পাইকারী পর্যায়ে চালের দাম বেশি।
রাজধানীর এক বিক্রেতা বলেন, চালের দাম মাঝখানে কমছিল, আবার বেড়ে গেছে। পাইকাররা বলে, আমাদেরকে মিলাররা ঠিকমতো চাল সরবরাহ দিচ্ছে না। তারা দাম বেশি নিচ্ছে বলে আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে চলতি বছর ধান উৎপাদন কম হয়েছে। ঘাটতি পড়েছে চাল সরবরাহে। তাই চালের দাম ঊর্ধ্বমূখী, এমন দাবি মিল মালিকদের। পদ্মা অটো রাইস মিলের পরিচালক ফিরোজ হোসেন বলেন, এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছ; চালের উৎপাদন কম হয়েছে।
চলতি বছর দেশে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৭০ লাখ টন। যা গত বছেরর তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ বেশি।