সরকারদলীয় সিন্ডিকেটের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাজার সামলাতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে জনগণের সমস্যার সমাধান করতে, এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে মানুষের চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমাতে।
কাল থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাস। কিন্তু এই সরকার কী করছে? তাদের লাগামহীন লোভ, তাদের সিন্ডিকেটগুলোর লোভের কারণে আজকে প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে গেছে।
আজকে ভয়াবহ যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার, তাদেরকে যদি পরাজিত করতে না পারি, তাদেরকে যদি ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারি তাহলে এদেশের মানুষে অস্তিত্ব থাকবে না।
আজ শনিবার (২ এপ্রিল), সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতীকী অনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি প্রতীকী অনশনে জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকেই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হন।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পাঁচ ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতসহ সড়কের একাংশে পলিথিন ও মাদুর বিছিয়ে অনশন করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণঅনশনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। এই সরকারকে জানাতে হবে, তাদের উপর জনগণের আস্থা নেই, তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দলের বহু নেতাকর্মীকে আটক রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি করেন তিনি।