বর্তমান সরকার এক ধরণের রাষ্ট্রীয় কারফিউয়ের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে তাদের ভিনদেশী মুনিবদের সাথে নিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, সারাদেশে বিশেষ করে ঢাকার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে এক ধরণের কারফিউ দিয়ে কিছু বিদেশী প্রভুদের নিয়ে এসে আমাদেরই স্বাধীনতা পালন করা হলো। লজ্জা লাগে আজ এভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে হলো। অথচ দল মত,ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশার মানুষের একসাথে হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার কথা ছিল বলেও মন্তব্য করে তিনি। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে ইসলামী দলগুলোর সাথে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরকারের ঝামেলা চলছে উল্লেখ করে তিনি অভিাযোগ করেছে, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন চলছে তা আড়াল করার জন্যই সরকার ধর্মকে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, এ দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিতে ধর্মকে ব্যবহারের চক্রান্তে মেতে ওঠেছে সরকার। স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গোলাগুলির ঘটনায় সরাসরি আওয়ামীলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করে এ বিএনপি নেতা বলেন, হেফাজতের হরতালে মুণ্সিগঞ্জের ৮০ বছর বয়স্ক বড় হুজুরকে সরাসরি আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে আহত করেছে। এর কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এদের মোকাবেলা করে দেশে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ারও আহ্ববান ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।