জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, সরকার গণতন্ত্রকে সার্কাসে পরিণত করে একদলীয় বাকশালের পথে হাঁটছে। আদালত ও পুলিশকে ব্যবহার করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও মতের নাগরিকদের ওপর জুলুম নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা শাহাজাহানপুর এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের প্রতিবাদ এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, জামায়াতনেতা মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি জাকির হোসেন, পশ্চিম সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সমাবেশে রেজাউল করিম বলেন, ‘আওয়ামী গণতন্ত্র এখন রীতিমতো সার্কাসে পরিণত হয়েছে। রাজপথে সরকারের যতই জুলুম-নির্যাতন বাড়ছে, ততই রাজপথ উত্তপ্ত ও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে।’
সরকারের পায়ের তলা এখন থেকে মাটি সরে গেছে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার পর তাদের মধ্যে হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। সে আতঙ্কের অংশ হিসেবে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গেও কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করতে শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে সরকার সমর্থকদের হাতে নাজেহালের শিকার হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের সম্মানহানি ঘটেছে।’
সমাবেশে ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি পরিহার করে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি।