
করোনা সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থায় ব্যর্থতার কারণে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। একইসঙ্গে টিকা প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়টির দায়ও সরকারকেই নিতে হবে বলে বলে মন্তব্য করেছে।
রবিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘করোনার টিকা সংগ্রহে সরকার শুরু হতেই দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে চুক্তিকৃত টিকা না পাওয়ায় এবং অন্যান্য উৎসগুলোর সঙ্গে চুক্তি না করায় টিকা প্রাপ্তি একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এর জন্য দায়ী করেছেন। আমরা করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বিকল্প উৎস সন্ধান এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলাম। ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ ভাবে খারাপ হওয়া এবং ব্লাক ফাংগাস রোগের মহামারি আকার ধারণ করায় জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল জানান, বিএনপি ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে চিঠি পাঠিয়েছে এবং আবারও দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতিকে সমর্থন জানাচ্ছে।
শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।