সরকার পতন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। মাগুরা ঘুরে বিকালে যশোর শহরের মুড়লী মোড়ে এসে পৌঁছায়।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আমরা আগের মতো আর ভোট করতে দিব না। যেদিন আমরা এই জালিম সরকারের পতন ঘটাতে পারব সেদিন এই রোডমার্চের সমাপ্তি হবে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল বলেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হলেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা ও লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
বিশেষ অতিথি দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনাদের সময় শেষ। জনগণ রাজপথে নেমেছে। পালানোর সময় পাবেন না। ভালোই ভালোই মুক্তি দেন। তা না হলে জেলখানা ভেঙে বাংলার মানুষ বাংলার নেত্রীকে মুক্ত করবে। এটাই প্রথম; এটাই শেষ দাবি।
যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।
সঞ্চলনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও মিজানুর রহমান খান।
এর আগে সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয় এই রোডমার্চ। এরপর মাগুরা-যশোর সড়কের শেখপাড়া মসজিদের সামনে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে প্রায় আধঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
যশোর শহরের মুড়লী ও অভয়নগরে পথসভা করে খুলনা অভিমুখী যায় রোডমার্চটি। কয়েক হাজার পিকআপ, ট্রাক ও বাস ছাড়াও শতাধিক মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল নিয়ে ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এ রোডমার্চটি খুলনার শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছায়।