বাংলা এক্সপ্রেস ডেস্কঃ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে নগদ আড়াই হাজার টাকা সহায়তার উপকারভোগীর তালিকায় হবিগঞ্জে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজনদের চারটি মোবাইল নম্বর ৩০৬ জনের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা জেলায়। যদিও প্রশাসন বলেছে খসড়া তালিকায় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ায় সংশোধন করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, সরকারি সহায়তার আড়াই হাজার টাকার উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা খসড়া তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেবেন। খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করার সময় এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে।
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ১১৭৬ জনের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩০৬টি তালিকার মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই এর আত্মীয় স্বজনের চারটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয় পুরো জেলায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর তালিকাটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলছে সংশোধনের কাজ। রবিবারের মধ্যে সংশোধন কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন অফিস থেকে ৭৩০টি তালিকা প্রণয়ন করেছি। বাকি তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে করা হয়েছে। তাদের কম্পিউটার অপারেটর ভুল করেছে। এখন আমরা সংশোধন করছি।’ নম্বরগুলো আপনার আত্মীয়-স্বজনের- এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন আমার ভাতিজা, তবে কাছের নয়, দূরের আত্মীয়। অপর জন আমার গোষ্ঠীর আত্মীয়। উপজেলা অফিসে তাড়াহুড়ো করে তালিকা প্রণয়নের কারণে একই নম্বর একাধিক তালিকায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ইচ্ছে করে করিনি।’
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি করোন পজিটিভ অবস্থায় আইসোশেনে আছি। বিষয়টি সহকারী কমিশনা ভূমি দেখভাল করছেন। তিনি বিষয়টি জানেন।’
লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকর্তা জানান, ‘আমি দেখভাল করিনি, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী স্যার দেখাশোনা করছেন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ট্রিবিউনকে জানান, ‘খসড়া তালিকায় অনিয়মের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর সংশোধন করা হচ্ছে। কোনও তালিকায় অনিয়ম হবে না।’